শিক্ষানবিশ আইনজীবী

বার কাউন্সিল পরিক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়া এস আই ইউর শিক্ষানবিশ আইনজিবীদের জন্য এ যেন সোনার হরিণ পাওয়ার মত




অবিরাম ছুটে চলা। বিরতিহীন। কেউ পায়। কেউ পায় না। এ যেন সোনার হরিণ। এ কাহিনী কেবল আজকার নয়। বহুদিন ধরে চলে আসছে। জীবন মানে লড়াই, যুদ্ধ। কোথাও কোথাও তা আরো তীব্র। উন্নয়নের সড়কে বাংলাদেশ। বাড়ছে শিক্ষা। অর্থনৈতিক উন্নতি। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতিযোগিতা। সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা চাকরির বাজারে। বছরের পর বছর ধরে লড়াই। হতাশ হয়ে পড়েন অনেক তরুণ। দুই হাজার পদের বিপরীতে দুই-তিন লাখ মেধাবীর লড়াই। সরকারি-বেসরকারি সব চাকরিতেই দৃশ্যপট একই রকম। সবচেয়ে বিপাকে উচ্চ শিক্ষিতরা। শুধু কি চাকরির বাজার? এখনও বহু কিছুই রয়ে গেছে সোনার হরিণ। নামি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতো রীতিমতো লটারি জেতার মতো। এইতো এইচএসসি পরীক্ষা হয়ে গেলো। এখন শিক্ষার্থীরা নেমে পড়বেন ভর্তি যুদ্ধে। প্রতি পদের বিপরীতে কয়েকগুণ বেশি প্রার্থী। হয়রানি ছাড়া সেবা? কোথায় পাবেন আপনি।
একই রূপ বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরিক্ষায়।এই বার কাউন্সিল পরিক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়া যেমন আকাশের চাঁদটাকে হাতের কাছে পাওয়ার মত। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতো তাদের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড দিতেই হিমসিম খাচ্ছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণ করে ফেলছে বার কাউন্সিলের নোটিশ অনুযায়ী। সিলেটের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয় হল সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই পর্যন্ত গর্বের সাথে বার কাউন্সিলের সকল পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে সিলেটের মধ্যে সব চেয়ে এগিয়ে আছে।আইন বিভাগ কে এগিয়ে নিয়েছেন সম্মানীত শিক্ষকক এবং শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এইবারের বার কাউন্সিল পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন কিনা শিক্ষার্থীরা এখনো সন্ধিহান।কেননা এখন পর্যন্ত তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বার কাউন্সিল প্রকাশ করে নাই।এর একটাই কারন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবহেলা আর ব্যার্থতা।যদিও এই ব্যার্থতার দায় স্বীকার করতে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ অনিচ্ছুক।তারা দেই দিচ্ছি বলে দায় এরিয়ে যাচ্ছে।অথচ আগামী ২জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বার কাউন্সিল পরিক্ষা। শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষকে দায়ি করছে।উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক আর কর্মকর্তাদের দুর্নীতিকেও দায়ী করছেন।
লাগাতারে আন্দোলনও করে যাচ্ছে অথচ ফল শুন্যই রয়ে যাচ্ছে। আজও যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা মানব-বন্ধন করার জন্য একত্রিত হয়েছিল তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাদেরকে বাধা দেয় আর আশ্বাস দেন আগামীকাল তাদের রেজিস্ট্রেশন বিতরণ করবেন। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়ে একদিনের জন্য আবারো সময় বেধে দেন অন্যতায় মানববন্ধনের মত আরো কঠুর কর্মসূচি দিবেন বলে হুসিয়াড়ি প্রধান করা হয়।

Post a Comment

0 Comments